Monday, July 16, 2018

কথা দিলাম


হে মোর মন কারিনী
তুমি নাই বা পারতে তোমার রুপের জোয়ারে মোরে ভাসাতে,,
নাই পারতে ঐ ডাগর কালো চোখের চাহনি
আর মিষ্টি ঠোঁটের হাসি দিয়ে মন কাড়তে , তোমাকে ভালোবাসার জন্য পারি আমি হাসি মুখে মরতে।
তোমার ভালোবাসার খেয়ায়
নাও মোরে ভাসিয়ে,
এ কেমন প্রীতির বাণ মারলে মোরে,
শয়নে স্বপনে শুধু তোমারই স্মৃতি পড়ে মনে।
আমি যে পড়িয়েছি তোমার গলে ভালোবাসার মালা,
অভিমানে যদি চলে যাও দূরে তবে পাবো মনে জ্বালা।
যদি চাও হাত দুটি দাও বাড়িয়ে
সাথী হয়ে রইবো পাশে,
তোমাকে ছেড়ে যাবো না কভু দূরে শত কষ্টও যদি আসে।।

Md Mamun Mondol

➡লেখক মোঃ মামুন মন্ডল

জাগো বাহে


জাগো বাহে কোনঠে সবাই,,,
জেগো ওঠো
শত বছরে চাঁপা পড়ে থাকা
আগ্নেয়গিরির মত,,,
তোমাদের জাগরনে কম্পিত হবে ধরা,
গরীবের ধন চুষে
কালো টাকায়  প্রাসাদ গড়েছে যারা।
আজি বিগলিত অগ্নির মত
 ধ্বংস করো
অত্যাচারির তান্ডব লেলিহান,,
ধরার মাঝে আছে যত ঘুস খোর,
 সন্ত্রাস আর চাঁদাবাজের দল,
নব উত্থিত জনতা আজি
দেশ থেকে সব করবে পরিত্রান।
জাগো বাহে কোনঠে সবাই
জেগে ওঠো,,,
হাতে হাত রেখে কাধে কাধ রেখে
রাজ পথে আজি মিছিল ধরো।
তোমাদের ওই বর্জ্র ধ্বনীতে
আজ চৈতন্য জনতার মাঝে
আসবে সুখের বান,
ওরে নির্দয় পাষাণের দল
হুশিয়ার সাবধান।
Md Mamun Mondol


➧লেখক-Md Mamun Mondol

নিঃস্বার্থ ভালোবাসা


ফোনে ক্রিং ক্রিং শব্দে সকালের মিষ্টি ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো।কল রিসিভ করতেই বিপরীত প্রান্ত থেকে ভেসে আসলো বর্ষার আওয়াজ।
- হ্যালো (আমি)
- তোমার এত্তো সময় লাগলো কল রিসিভ করতে? সেই কখন থেকে কল দিচ্ছি তোমাকে।(বর্ষা)
- আমি ঘুমে ছিলাম তো বাবু।তোমার কল পেয়েই তো ঘুম ভাঙ্গলো।(আমি)
- তুমি আমায় মোটেই ভালোবাসো না আবির।(বর্ষা)
- উফ বাবু বুঝার চেষ্ঠা করো।(আমি)
- আমি কিছু বুঝতে চাই না।আমায় সত্যি ভালোবাসলে ২০ মিনিটের মধ্যে ক্যাম্পাসে আমার সাথে দেখা করবা,রাখলাম বাই।(বর্ষা)
- এই আমি তো রেডি হই নি এখনো। হ্যালো,,,,,,
ধুর সকালটাই শুরু হলো প্যাড়া দিয়ে।অনেক সাধ করে একটা প্রেম করেছিলাম।প্রেমে এতো প্যাড়া জানলে এর ধারে কাছে ভিরতাম না।
বাসা থেকে ভার্সিটি ক্যাম্পাস ১৫ মিনিটের রাস্তা।তাই ফ্রেশ হয়ে ব্রেকফাস্ট না করেই বেরিয়ে পরলাম।আমাকে দেখে বর্ষা মিষ্টি একটা হাসি দিয়ে বললো,
- যাক বাবা, সময় মত তাহলে আসতে পেরেছো?দেরি হলে এক ঘুষিতে নাক বোচা করে দিতাম।(বর্ষা)
- তুমি একটা পাগলি মেয়ে,সকাল সকাল আমায় হয়রানি করালে।(আমি)
- সরি জানু, ভালোবাসার পরিক্ষায় তুমি পাশ।একশ তে ৯৫ পাইছো।(বর্ষা)
- কিহ্,,,,, আর পাঁচ নম্বর গেলো কোথায়?(আমি)
- তুমি জানো না খালি হাতে গার্লফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে নেই।(বর্ষা)
- আল্লাহ আমারে উডাই লউ,,ব্রেকফাস্ট না কইরা এই মাইয়ার পিছে আইছি আর হেতে কয় কি?(আমি)
- হাহাহাহাহ,,, আমিও কিছু খাইনি।চলো একসাথে ব্রেকফাষ্ট করবো।
(বর্ষা)

একটু পরেই সেলফোনটা বেজে উঠলো।
- ভাইয়া বাড়িতে ফেরার সময় মনে করে লাইব্রেরী থেকে অামার জন্য বাংলা ২য় পত্র আর ইংলিশ গ্রামার বই নিয়ে আসিস।(কথা)
- ঠিক আছে আনবো, রেখে দে।(আমি)
- ওকে ভাইয়া।(কথা)
আমার এক মাত্র ছোটবোন কথা।এবার ক্লাস নাইনে।অনেক মেধাবী ছাত্রী।মাঝে মাঝে বাবা বলতো
- তোর ছোট বোনকে দেখে কিছু শিখে নে।মাথায় তো গোবর ছাড়া আর কিছু নেই তোর।

কথাকে নিয়ে আমাদের অনেক স্বপ্ন।বাবা মার ইচ্ছা ওকে ডাক্তার বানাবে।
বাসায় ফিরে কথার হাতে বইয়ের প্যাকেট দিয়ে বললাম-
- নতুন বই এনে দিলাম ভালো ভাবে পড়বি বুঝলি?আর যখন তখন ফেইসবুকে যেনো না দেখি।
নতুন বই পেয়ে কথা খুব খুশি।মা ডেকে বললো
- আবির এসেছিস?
- হ্যা মা।
- ফ্রেস হয়ে খেতে আয়।

খাওয়া শেষ করে রুমে এসে লম্বা একটা ঘুম দিলাম।কতক্ষন ঘুমিয়েছিলাম জানি না।জেগে মোবাইলে টাইম দেখার জন্য পাওয়ার বাটনে চাপ দিতেই দেখলাম বর্ষার পাঁচটা মিসকল উঠে আছে।ফন ব্যাক করতেই
- হ্যালো কে বলছেন?(বর্ষা)
- বর্ষা আমি একটু ব্যস্ত ছিলাম তাই ফোনটা সাইলেন্ট ছিলো।কি খবর বলো।(আমি)
- আমার খবর তুমি রাখো? উল্টো তোমার খবর  আমায় নিতে হয়।আজ কত তারিখ মনে আছে তোমার?(বর্ষা)
- ফেব্রুয়ারির ১১ তারিখ মনে হয়।কেনো?(আমি)
- ভালোবাসা দিবসের আর তিন দিন বাকী, মনে যেনো থাকে।(বর্ষা)
- হুম(আমি)
- আমায় কি গিফ্ট দিবে শুনি?(বর্ষা)
- বাগানের ফুটন্ত লাল গোলাপ দিয়ে তোমায় প্রেম নিবেদন করবো জানু।(আমি)
দেখো আজাইরা আলাপ পারবা না, মনির বয়ফ্রেন্ড আবিদ তাকে ভ্যালেন্টাইন'স ডে তে আইফোন গিফ্ট দিতে চেয়েছে।আমি তো আর তা চাইনি, তবো বন্ধু বান্ধব যেনো আমায় বলতে না পারে তোর বয়ফ্রেন্ড একটা ফকির।(বর্ষা)
- ওরে বাপ রে।বেশ ভালো।আমার বাবার অনেক টাকা থাকলে ওর থেকে ভালো ফন কিনে দিতে পারতাম।আমার টাকা না থাকলেও বুক ভরা ভালোবাসা আছে।(আমি)
- তোমার ভালোবাসা ধুয়ে ধুয়ে পানি খাও,রাখলাম।(বর্ষা)
- এই হ্যালো, আচ্ছ আমি তোমায় ভালো কিছু দেওয়ার চেষ্টা করবো।
দিন যতই যাচ্ছে ভালোবাসা সুখের বদলে ততই যেনো আমার জন্য পীড়াদায়ক হয়ে যাচ্ছে।গার্লফ্রেন্ডের চাহিদা মেটাতেই আমি শেষ।চার হাজার টাকা থেকে কথার জন্য বই কিনেছি এক হাজার টাকার।বাকী তিন হাজার আছে।এ দিয়ে কিচ্ছু হবে না।দু দিনের মধ্যে কমপক্ষে আরো দুই হাজার টাকা মেনেজ করতে হবে।না হলে পাখি ফুরুত করে অন্ন ডালে গিয়ে বসবে।ভাবতে ভাবতে মাথায় একটা চমৎকার বুদ্ধি চলে আসলো।কাল সকালে বাবার কাছ থেকে বই কেনার কথা বলে দুই হাজার টাকা নিলে সমস্যা সমাধান হবে।বাহ্ কি বুদ্ধি আমার, তারিফ করতে হয় ঘিলুর।।
সকালে ফ্রেস হয়ে বাবাকে বললাম-
- বাবা আমার কিছু টাকা লাগবে বই কেনার জন্য।
- বই কিনে লাভ কি শুনি? তোকে তো কখনো পড়তে দেখি না।কথা বই কেনার কথা বলে এক হাজার টাকা নিয়ে গেলো।তোর কত লাগবে?(বাবা)
- দুই হাজার হলেই হবে বাবা।(আমি)
- তোর মার কাছে রাখা আছে নিয়ে নিস।(বাবা)
আমি রুমে এসে ভাবতে লাগলাম কথার তো সব বই কেনা শেষ।তাহলে টাকা দিয়ে কি করবে? হাত খরচার জন্য তো আর এক হাজার টাকা লাগার কথা না।আর ও মিথ্যা বলার মতো মেয়েও না।বিষয়টা জানার জন্য ওর রুমের কাছে যেতেই শুনতে পেলাম,
- হ্যালো পুতুল, ভালোবাসা দিবসে একজনকে উইস করতে চাই, কোন ধরনের গিফ্ট দিবো বলতো? (কথা)
আমার উপস্থিতি বুঝতে পেরে কথা ফোনটা কেটে দিয়ে বললো,
- ভাইয়া কিছু বলবি?(কথা)
- না মানে, তোর ইংলিশ গ্রামার বই টা আমার একটু প্রয়োজন ছিলো।(আমি)
- আচ্ছা নিয়ে যা।(কথা)
আমি বই নিয়ে রুমে এসে হতভম্ব হয়ে বিছানায় বসে পড়লাম।তাহলে কি কথা লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করে।কথার উপর আমার খুব রাগ হচ্ছিলো।মনে মনে ভাবলাম আমায় খুঁজে বের করতে হবে কোন ছেলের সাথে ও প্রেম করে, তারপর ওর একদিন কি আমার একদিন।
টানা দুইদিন কথাকে ফলো করা সত্যেও কোনো ছেলের সন্ধান পেলাম না।তবে একদিন একটা গিফ্টের বক্স সহ ওকে রুমে প্রবেশ করতে দেখেছি।বুঝতে অসবিধা হলো না যে গিফ্ট টা ঐ ছেলেকে দেওয়ার জন্য কিনেছে।হয়তো টের পেয়ে গিয়েছিলো আমি ওকে ফলো করছি, তাই ছেলেটার সাথে দুইদিন কোনো দেখা করে নি।তবে আমিও ছাড়ছি না।কাল ভালোবাসা দিবসে যখন গিফ্ট নিয়ে ঐ ছেলের সাথে দেখা করতে বের হবে তখনি ওকে ধরে ফেলবো।রাতে টেনশনে ভালোভাবে ঘুম হয় নি।
১৪ই ফেব্রুয়ারি ভোর ৭টায় বর্ষাকে উইস করতে ভার্সিটির ক্যামপাসে আসি।অতপর তাকে সপিং করে পাঁচ হাজার টাকা থেকে অবশিষ্ট পাঁচটাকা এক ভিক্ষুককে দিয়ে আমি ভিক্ষারি হয়ে   এক ঘন্টার মধ্যে বাসায় চলে আসি।এসে দেখি কথা মনের সুখে গুনগুন করে গান গাইছে আর সাঁজছে।আমি অপেক্ষা করতে থাক
লোখক

রহস্যময় প্রাসাদ

সে দিনটি ছিলো ২১শে ফেব্রুয়ারী রোজ
বুধ বার।আমরা কয়েক জন বন্ধু মিলে
সারাদিন অানন্দ করে রাতে বাড়ি
ফিরছিলাম।হঠাৎ করে রাজু বললো, চলো
সবাই মিলে আজ নাইট ক্লাবে যাই।কিন্তু
আমার আজ মোটেই নাইট ক্লাবে যেতে
ইচ্ছে করছে না বলে উঠতেই সোহেল
বলল,আমিও আজ নাইট ক্লাবে যাবো না।
তাই আমি বললাম- তাহলে তোরা নাইট
ক্লাবে যা, আমি আর সোহেল বরং
বাড়িতে চলে যাই।অবশ্য সে রাতটি
ছিলো আমাবস্যার রাত।এটা বলার
অপেক্ষা রাখে না যে আমাবস্যার রাত
থাকে গভীর অন্ধকারে ঢাকা।আমার আর
সোহোলের বাড়ি একই এলাকায়।
আমাদের কাছে কোনো লাইট ছিলো না।
আমরা দুই বন্ধু পায়ে হেটে জমাট বাধা
অন্ধকার ঠেলে গল্প করতে করতে বাড়ি
ফিরছিলা।কিছুদূর এগোতেই নাকে এলো
উৎকট ভ্যাপসা বাজে এক গন্ধ।সেই সাথে
গরম এক হাওয়া বয়ে গেলো আমাদের উপর
দিয়ে।এই কনকনে শিতে এমন
অপ্রত্যাশিত হাওয়া কেমন যেনো রহস্যময়
লাগছিলো।
এই বিভস্য অন্ধকারে আন্দাজ করলাম
একটা কালো বিড়াল আমাদের পাশ
কাটিয়ে একটু দূরে গিয়ে আমাদের দিকে
তাকিয়ে রইলো অপলক দৃষ্টিতে।যদিও
বিড়ালটার শরীর দেখা যাচ্ছিলো না
তবে তার চোখ দুটো স্পষ্ট দেখতে
পাচ্ছিলাম।একদম রক্তিম চোখে
আমাদের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে
আছে।সোহেল বললোঃ
- আবির ভয় লাগছে
- ধুর পাগল ভয় কিসের?
- বিড়ালটার চোখ দুটো দেখেছিস?কি
ভয়ানক।
-কি যে বলিস,কুকুর বিড়ালের চোখ রাতে
এমনি দেখায়।
আমি সোহেলকে কিছু বুঝতে দিলাম না।
তাড়াতাড়ি বাড়ি পৌঁছার জন্য একটি
পরিত্যাক্ত সংক্ষিপ্ত পথে চলছি,,,,,
রাস্তাটি দিয়ে তেমন লোক চলাচল করে
না।রাতে তো আরো নয়।মানুষ চলাচল না
করায় রাস্তাটির দু পাশ দিয়ে লতা
পাতায় ছেয়ে গেছে।ঝোপ ঝাপ এবং
লতাপাতায় চারপাশ পরিপূর্ন।ভূত প্রেতে
আমার তেমন বিশ্বাস নেই।তাই নির্ভয়ে
এ রাস্তা ধরেই হাটছি।হঠাৎ করেই
জঙ্গলের পূর্ব পাশ থেকে শেয়ালের
কান্না মিশ্রিত অদ্ভুত হুক্কার।অজানা
এক ভয়ে শরীরটা শীউরে উঠলো।আমরা
প্রায় আমাদের এলাকায় এসে পরেছি।
আমাদের এলাকায় একটি পুরোনো
ভাঙ্গা রাজ প্রাসাদ রয়েছে।তার
সামনে দিয়েই আমাদের গ্রামে যাওয়ার
রাস্তা।কথিত আছে প্রায় ২০০ বছর পূর্বে
এক হিন্দু রাজা এখানে রাজত্ব করতো।
রাজাটি ছিলো খুব বাজে।খাজনা
আদায়ের জন্য গরীব কৃষকের উপর চালাতো
নির্মম অত্যাচার।তার ঐ রাজ্যে কোনো
সুন্দরী যুবতী দেখলেই ছলে বলে কৌশলে
তাদের সম্ভ্রম নষ্ট করতো।আর এর
প্রতিবাদ করতে গেলেই প্রান দিতে
হতো।এক রাতে কোনো এক দরবেশ সেই
প্রাসাদে আশ্রয় পাওয়ার আশায় গেলে,
রাজা তাকে আশ্রয় না দিয়ে মুসলমান
পীর বলে মারতে মারতে প্রাসাদ থেকে
বের করে দেয়।সেই দরবেশের অভিশাপে
ঐ রাতেই সমস্ত প্রাসাদটি একটি ধ্বংশ
স্তুপে পরিনত হয়।এতে রাজার বংশ
নিরবংশ হয়ে যায়।সেদিন থেকে কোনো
মানুষ ঐ প্রাসাদের ধারে কাছে যায় না।
তা ছাড়া মাঝে মধ্যে ঐ ভাঙ্গা রাজ
প্রাসাদ থেকে নাকি কান্নার আওয়াজ
শোনা যায়।
আমি আর সোহেল হাটতে হাটতে যখন
প্রাসাদের নিকট আসলাম, আমরা অবাক
হয়ে তাকিয়ে রইলাম সেই প্রাসাদের
দিকে।সমস্ত প্রাসাদ যেন একটি আলোর
ফোয়ারা।আমাবস্যার অন্ধকার যেনো এই
আলোর নিকট বিলিন হয়ে গেছে।একটা
বিষয়ের উপর লক্ষ করে আমার শরীর হিম
হয়ে আসলো।যে প্রাসাদ দুইশ বছর থেকে
ভাঙ্গা পরিত্যাক্ত অবস্থায় পরে
রয়েছে,আজ তা কিভাবে আলোক সজ্জায়
পরিপূর্ন হতে পারে!!!
ভাবতে ভাবতে প্রাসাদের ভিতর থেকে
আসা একটি সুগন্ধে আকুল হয়ে অজানা এক
আকর্ষনে প্রাসাদের দিকে যেতে
থাকলাম।এক সময় আমরা বুঝতে পারলাম
আমরা প্রাসাদে প্রবেশ করেছি।সমস্ত
প্রাসাদ আলোক সজ্জায় পরিপূর্ন।উপরে
ঝারবাতি ঝুলছে, মেঝেতে বাহারি
রঙের কার্পেট।
ভালো ভাবে লক্ষ করে দেখলাম কক্ষের
এক কোনায় পালঙ্কে শুয়ে আছে এক
অপরূপ সুন্দরী মেয়ে।সব কিছু স্বপ্নের মতো
লাগছিলো।নিজের চোখকে যেনো
বিশ্বাস করতে পারছিলাম না।স্বপ্ন কি
না যাচাই করতে নিজের শ্বরীরে চিমটি
কেটে উহ শব্দ করে উঠতেই মেয়েটির ঘুম
ভেঙ্গে গেলো এবং মিষ্টি হাসি দিয়ে
বললোঃ
- আমি তোমাদের জন্যই অপেক্ষা করছি।
তার পর অপরূপ সুন্দরী মেয়েটি আমাদের
অন্য একটি কক্ষে নিয়ে গেলো।অতপর
মেয়েটি দুইটি গ্লাসে সরবত এনে দিয়ে
খেতে বললো।আমরা তার কথা মতো সরবত
টা খেয়ে নিলাম।আমরা যেনো তার
কথার পুতুল হয়ে গেছি।কিছুক্ষনের মধ্যে
সরবত নেশায় শরীর টোলতে লাগলো।
হঠাৎ করে চারপাশ থেকে মন মাতানো
বাদ্যযন্ত্রের শুর ভেসে আসতে থাকলো।
সেই শুরের তালে তালে মেয়েটি নেচে
গেয়ে আমাদের আনন্দ দিতে থাকলো।
আমরা মেয়েটির মায়া জালে আটকা
পরে গেলাম।এভাবে কতক্ষন চলে গেছে
জানি না।হঠাৎ বাহিরে বিকট এক শব্দে
আমাদের হুশ ফিরে আসলো।মুতুর্তেই
বাদ্যযন্ত্রের শুর কোথায় যেনো বিলীন
হয়ে গেলো।শুনতে পেলাম সেই কান্না
মিশ্রিত শেয়ালের হুক্কা হুয়া।জোরে
জোরে ঘরের ভিতরে বাতাস প্রবাহিত
হতে থাকলো,,,ঝারবাতি গুলো একবার
জ্বলছে একবার নিভছে।চোখের পলকে
অপরূপ সুন্দরী মেয়েটি ভয়ঙ্কর ডাইনীর রূপ
ধারন করলো এবং কোনো কিছু বুঝে ওঠার
আগেই হিংস্রো পশুর মতো ঝাপিয়ে
পড়লো আমাদের উপর।ডাইনী তার দু হাত
দিয়ে আমার এবং সোহেলের গলা
স্বজোরে চেপে ধরলো।তার তরবারীর
মতো ধারালো নখের আঘাতে আমাদের
গলা ক্ষত-বিক্ষত হতে থাকে।চোখের
সামনে সব কিছু অন্ধকার হয়ে আসছিলো।
মৃত্যু যন্ত্রনায় হাত পা নাড়াচাড়া করছি।
হঠাৎ হাতের কাছে সরবতের গ্লাসের
নাগাল পেলাম।বিলম্ব না করে গ্লাসটা
শক্ত করে ধরে স্বজোরে ডাইনীর মাথায়
আঘাত করলাম।একটি আর্তনাদ করে সে
ছিটকে দূরে সরে গেলো।ভয়ে মরি মরি
অবস্থা। জীবন বাচাঁনোর জন্য দুজনে উঠে
দিলাম দৌড়।এদিকে বাইরে বেরুনোর
রাস্তা হারালাম। ডাইনী উঠে দাড়িয়ে
গর্জন ছাড়তে থাকে।সেই গর্জনে যেনো
আকাশ বাতাস থর থর করে কাঁপছিলো।সে
আমাদের দিকে আগুনের লালা ছুড়তে
লাগলো।অবশেষে বাহিরে বেরুনোর
রাস্তা খুজে পেলাম।ডাইনী আমাদের
পিছু ছাড়েনি।আমাদের ঘায়েল করার
জন্য বড় বড় গাছ উফরিয়ে আমাদের নিকট
ছুড়তে লাগলো আমরা প্রানপন
দৌড়াচ্ছি।হঠাৎ করে একটা গাছের গুড়ির
সাথে হোচট খেয়ে রাজ প্রাসাদের
প্রধান গেটের বাইরে ছিটকে পরে
গেলাম।মুহুর্তের মধ্যে ফজরের আজানে
চারপাশ মুখরিত হয়ে উঠলো।বিশাল
দেহের ডাইনীটি চোখের পলকে
বাতাসে মিশে গেলো।সোহেল আমাকে
জড়িয়ে ধরে কেদে ফেললো।নির্ঘাত
মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আমরা যার যার
বাড়ির দিকে রওনা দিলাম।ততক্ষনে
ভোরের ডাকে চারপাশ ফর্সা হয়ে
এসেছে।
লেখক